বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : গ্রামে ফিরল গ্রামের ছেলে। তবে কফিন বন্দি হয়ে! বালেশ্বরের মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোক হন্যে হয়ে খুঁজেছে তাকে, অবশেষে গত কাল তার নিথর দেহ চিহ্নিত করেন তাঁর স্ত্রী। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নিখিল ধাড়া সিআরপিএফে কর্মরত ছিলেন ছত্তিসগড়ে। সেখান থেকে সম্প্রতি রাজগীরে মাস দুয়েকের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন।সেখান থেকে খড়গপুর আসেন এবং নিজের কর্মস্থলে যোগ দিতে করমন্ডল এক্সপ্রেসে যাত্রা শুরু করেন।সেই যাত্রাই শেষ যাত্রা হবে তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর পরিবার,আত্মীয় স্বজন ও পড়শীরা।
এই দুর্ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোক নিখিলের সাথে আর যোগাযোগ করে উঠতে পারেন নি। মোবাইল নাম্বার ট্রাক করে লাস্ট লোকেশন দেখায় বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থল। এরপর আশঙ্কা বাড়ে পরিবারের।ওড়িশা গিয়ে নিখিলের ব্যাগ,পরিচয় পত্রের খোঁজ পেলেও কিন্তু নিখিলের খোঁজ মেলেনি।অবশেষে, সিআরপিএফের তৎপরতায় নিখিলের মৃতদেহ মেলে। এবং তা চিহ্নিতও করে নিখিলের পরিবার।
আজ নিখিলের অন্তিম সংস্কারের জন্য গ্রামে মরদেহ পৌঁছে দেয় তার ব্যাটেলিয়ন। সেখানে গান স্যালুট আর চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয় নিখিলকে। সারা গ্রাম তাদের প্রিয় নিখিলকে হারিয়ে শোকে কাতর। নিখিলের স্ত্রী,মেয়ে,বৃদ্ধ বাবা,বৃদ্ধা মায়ের নিখিলকে আকালে হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা!ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়ার সম্পর্কে কাকু হতেন নিখিল।এভাবে নিখিলকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন নির্মল ধাড়াও।তার কথায় উঠে এসেছে ছোট বেলার নানা স্মৃতি।
এদিন কুশমুড়ি গ্রামে নিখিলের মরদেহ পৌছানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এদিন,নিখিলকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন গ্রামের অগনিত মানুষ। চোখের জলে প্রিয় নিখিলকে চির বিদায় জানান তারা। আর
ঈশ্বরের কাছে তারা প্রার্থনা করেন এমন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি আর যেন এদেশে ফিরে না আসে!