বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বোনের গলায় এলোপাতাড়ি ছুরির কোপ মেরে ওই ছুরি দিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করল দাদা।বাঁকুড়া শহরের অরবিন্দনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে এই ঘটনা। বোনের নাম মুনমুন মিত্র এবং দাদার নাম দেবদাস। বৃদ্ধা মাকে সাথে নিয়ে দাদা ও বোন এই এলাকায় গত মাস চারেক ধরে ভাড়া আছেন৷ ঘটনার পর বৃদ্ধা মা মুক্তা মিত্রের বাঁচাও,বাঁচাও চিৎকারে শুনে পড়শীরা ছুটে আসেন৷ এবং দেখেন তিন জনই আহত৷ মুক্তা দেবী ছেলের হাত থেকে ছুরি কাড়তে গিয়ে আঙ্গুলে চোট পেয়েছেন। মুনমুন আর দেবদাসের গা বেয়ে রক্ত ঝরছে। সাথে,সাথে খবর দেওয়া হয় সদর থানায়। পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মুক্তা দেবী জানান মেয়ের ডিভোর্সের মামলা চলছে। সেই নিয়ে দাদা ও বোনে টুকটাক অশান্তি লেগেছিল।ছেলে ইংরেজিতে এমএ পাশ করে চাকরি পায়নি। তবে, গৃহশিক্ষকতা করে সামান্য আয় করত সে। চাকরি না মেলায় বেশকিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল।রাতে ঘুমাতো না। এদিন ঘটনা ঘটার আগে ছেলেকে শহরের এক মানসিক চিকিৎসক কে দেখিয়েও নিয়ে আসেন তিনি।ফিরে এসে তিন জনে ভাত ও খান।তখন সব ঠিকঠাক ছিল। দাদা ও বোনে ডিভোর্স মামলা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তার মধ্যেই দুজনে কথা কাটাকাটি এক সময়
চরম আকার নেয়। আচমকা ছুরি দিয়ে বোনের গলায় কোপ মেরে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে দেবদাস।
এদিকে, পুরুলিয়ার পুঞ্চা থেকে এসে মাস চারেক ধরে অরবিন্দ নগরে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে এই পরিবারটি। এবং দেবদাস এলাকায় অতি ভদ্র ও নম্র বলেই পরিচিত ছিল।সে যে এমন কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না তার পড়শীরা।
একদিকে বেকারত্ব, পাশাপাশি বোনের ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বিয়ে দিয়েও তা ডিভোর্স মামলা পর্যন্ত গড়ানোয় জোর মানসিক আঘাত পেয়েছিল দেবদাস। আর তা থেকেই ইদানিং মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে পড়ে। এর জেরেই নিজের মাথা ঠিক রাখতে না পেরেই এমন কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশেরও। তবে এর পিছনে আর কি,কি কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।