মস্তিষ্কের ক্ষমতা় অনুযায়ী পড়াশোনা করা উচিত। নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে হতাশ করে ফেলবেন না। আবার অধিক আত্মবিশ্বাসী হবেন না। চেষ্টা করুন নিজে যেভাবে ছোট থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন, সেটাকে একটু চেঞ্জ করে পড়াশোনা করতে, কিন্তু খুব বেশি কিছু চেঞ্জ নয়। নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে খারাপই হবে, তাই ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করুন, ধৈর্য রাখুন, দেখবেন ঠিক সময়ে আপনি সফলতা ঠিকই পাবেন। নিজের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন আর সেটা নিজের মত করে সমাধান করুন। সবরকম পরীক্ষার জন্য প্রথম দিকে অ্যাপ্লাই করলেও, পরে নিজের শক্তিশালী বিষয়গুলির সঙ্গে সম্পর্কিত পরীক্ষার গুলির জন্য প্রস্তুতি নিন। পড়াশোনায় নিজের উন্নতি হচ্ছে কিনা সেটার দিকে খেঁয়াল রাখুন, এটা খুবই জরুরি। উন্নতি ছাড়া মানুষ সফল হতে পারেনা। কে কতক্ষন পড়ছে সেটার দিকে নজর না দিয়ে নিজের পড়ার সময় ধীরে ধীরে বাড়ান, পড়ার পাশাপাশি নিজের মনকে স্ফুর্টিতে রাখুন, খেলাধুলার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করুন, দেখবেন আপনি যেটা পেতে চাইছেন সেটা ঠিকই পাবেন। এতে মনে রাখার ক্ষমতা অনেক বাড়ে এবং পড়াশোনায় মনঃসংযোগ আসে। পরীক্ষার হলে সময় কম থাকে বলে সময়ের কথা মাথায় রাখতে হয়, তাই মস্তিষ্ক সব দিকে বুদ্ধি খাটাতে পারেনা, তাই অল্পবিস্তর ভুল আমরা পরীক্ষা হলে করে থাকি, এটা স্বাভাবিক। এর জন্যে খুব হতাশ হবার কোনো প্রয়োজন নেই, মনকে এটা শান্তনা দিতে হবে যে পরের বার ঠিক হয়ে যাবে। নাহলে সামনে এগোতে গেলে বাধা সৃষ্টি হবে। চাকরি পেতে গেলে সব জানতে হবে এমন ব্যাপার নয় আর ১০০ পেতে হবে এমনও নয়, শুধু cut off থেকে ৫-১০ নম্বর বেশি রাখলে যথেষ্ঠ।