ফান্সের বিপক্ষে হেরে গেলো আর্জেন্টিনা। তিনটি গোল আর্জেন্টিনা দিয়েছে- কিন্তু তার থেকেও বড় ব্যাপার আর্জেন্টিনা ৪টি গোল খেয়েছে। কিন্তু কেনো আর্জেন্টিনার এমন পরাজয়। ভুল ছিলো কার, কি কারনে আর্জেন্টিনার স্বপন পুরে ছাই। আর্জেন্টিনা ব্রাজিল যাকেই সাপোর্ট করিনা কেনো আর্জেন্টিনা ৪ গোল খেয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে, এটি সত্যি দুঃখের বিষয়।
ম্যাচ বিশ্লেষন করলে দেখা যায় আর্জেন্টিনার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এই পরাজয়ের ১ম কারন। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২ গোল করার পরে, আর্জেন্টিনা আনন্দে একটু বেশি আত্নহারা হয়েছিলো। আর্জেন্টিনা ভেবেছিলো, আমরা ১ গোলে এগিয়ে, ফ্রান্সতো এইবার হেরেই গেলে। নিজেদের গোল রক্ষা না করেই, ফান্সেকে আরো গোল দেওয়ার জন্যে মরিয়া হয়ে ঊঠে আর্জেন্টিনা। কিন্তু আর্জেন্টিনা এটা ভাবেনি, ফ্রান্স কোনো চুনোপুটি দল নয়।
২য় কারন আর্জেন্টিনার পাগলামী। অতিরিক্ত চাপের মুখে আর্জেন্টিনা খেলোয়াররা নিজেদের ধরে রাখতে পারে না। ফ্রান্সের সাথে খেলা দেখে মনে হচ্ছিলো ওরা ১১টা পাগলের দল। যে যেদিকে পারছে মরিয়া হয়ে দৌড়াচ্ছে- কারো কোনো ধঈর্য নেই। ধৈর্য হারা হয়ে অপরিকল্পিত খেলার এই সুযোগটাই নিয়েছে ফ্রান্স।
৩য় কারন কোচ সাম্পাওয়ালীর না বুঝেই বেশি চেচামেচি। মাঠে যারা খেলছে, তাদেরকে নিজেদের মতো খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে খেলোয়ারদের পরমর্শ দেওয়া উচিত। কোচ সাম্পাওয়ালির বেশি খবরদারীতেই মেসিদের খেলা বার বার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিলো। মেসি, আগুয়ার, ডি মারিয়ার পরামর্শেই আর্জেন্টিনার খেলা উচিত ছিলো। কারোই মনে হয়না মেসিদের থেকে কোচ সাম্পাওয়ালি বেশি অভিজ্ঞ।
৪র্থ কারন আর্জেন্টিনার অনেক বেশি মেসি নির্ভর হওয়া। মেসি মেসি মেসি, মেসি ছাড়া আর যেনো মাঠে কেউ নেই। দর্শকেদের বেশি বেশি মেসি মেসি চিৎকার, মেসিকে বিভ্রন্ত করেছে। আরো বেশি চাপের মুখে ফেলেছে, যে কারনেই মেসি তার নিজের সেরাটা দিতে পারেনি। এছাড়া গনমাধ্যম থেকে শুরু করে বিশ্বে সবাই মেসিকে অনেক চাপে ফেলেছে। কিন্তু এটা একবার ভেবে দেখা উচিত ছিলো মেসিও মানুষ। মেসির পায়ে বল গেলেই গোল হবে এমনটা নয়। মেসির পেনাল্টি মিস করলেই তার নিন্দা করতে হবে, এমটাও উচিত নয়।
৫ম কারন- আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের গতি। আর্জেন্টিনার খেলোয়াররা, বিপক্ষ দলর খেলোয়ারদের অনেক বেশি সময় দিয়ে ফেলেছে। আর্জেন্টিনা চাইছিল সাজিয়ে গুছিয়ে গোল দিতে। কিন্তু দেখা গেছে আর্জেন্টিনা বল সাজাতে যে সময় ব্যয় করেছে, সেই সময়ে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ও গোল ঠেকানোর জন্যে নিজেদের পজিশন নিয়ে নিয়েছে।
৬ষ্ট কারন হিসেবে বলা যেতে পারে আর্জেন্টিনা দলে খেলোয়াড়দের মাঝে সমন্বয় হীনতা। খেলোয়াড়ও নিজেরা নিজেদেরকে ম্যানেজ করে খেলতে পারেনি। যে কারনে বার বার এটাকে গিয়েও গোল না করেই ফিরে আসতে হয়েছে।