ফেনীতে হামলার মুখে পড়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর রোহিঙ্গাদের দেখতে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে। খালেদা জিয়ার গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর একদল যুবক ওই হামলা চালায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গণমাধ্যমেরসহ বহরের অন্তত ৩০টি গাড়ি। একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই, যমুনা, একুশে, এটিএন নিউজ ও বৈশাখী টেলিভিশনের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন। এছাড়া কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, যুগান্তর, যায়যায়দিন, গাজী টিভি, আমাদের সময়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গাড়ি বহরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আহতদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেন, গাড়ি বহরে জনতার ঢল দেখে হিতাহিত জ্ঞান ভুলে নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। এ জন্য তাদের দলের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। এ সময় হাজার হাজার স্থানীয় নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানায়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে স্বাগত জানাতে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। ফেনীতে খালেদা জিয়ার বহরে যে হামলা হয়েছে তাতে আক্রান্তরা সবাই সাংবাদিক। কক্সবাজারগামী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার বিএনপি প্রধানের গাড়িতে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেগম জিয়ার গাড়ির কোনো ক্ষতি না হলেও বহরের অপর একটি গাড়িতে লেগে কাচ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফেনীর নিমচর এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িকে লক্ষ্য করে এ পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার পেছনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছেন। তার দাবি, এই হামলা পরিকল্পিত। আজ শনিবার বিকেলে ওই হামলার পর এর প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। একটা পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ও মানবিক কাজে এ হামলা নিন্দনীয়।