তোমার মাষ্টার ডিগ্রীকে কবর দিতে এসেছি!
=============================
এই ছেলে তোমাকে বলছি!
তুমি খুব সতেজ ব্রেনের ছেলে, মাষ্টাডিগ্রী পাশ করে গ্রামের বাড়ীতে গেছো। তোমাদের গ্রামের একটা হিন্দু শরস্বতী, ভগবতী, কালীর মূর্তী তৈরী করে, আর ঐ খানে রেখেছে জিলাপী আর কলা। এইবার তুমি হাসছে আর বলছো, ‘এরা এত বোকা মানুষ! আচ্ছা শরস্বতী, ভগবতী, কালী, দূর্গা কি কলা খেতে পারে? হিন্দুরা কত বোকা, কি ব্যাপার এইখানে কলা জিলাপী রেখেছে ‘
.
এই ছেলে তোমাকে বলছি! তুমি সাবধান থাকো। তুমি যে এখন স্কুলে এসে বলছো, ‘এই ছেলেরা, এই মেয়েরা আগামীকাল তোমরা ফুল নিয়া আসবা। পায়ের জুতা খুলে দিয়ে বরকতের কবরে ফুল চাড়াতে হবে।’
.
তোমার মাষ্টার ডিগ্রীকে কবর দিতে এসেছি, তুমি মনে রেখো। তুমি বলো সারা বাংলাদেশ কেন, সারা পৃথিবীর মানুষ যদি পায়ের জুতা খুলে দিয়ে এই বরকতের কবরে ফুল চড়ায় তাহলে বরকতের এক পয়সা লাভ হবে নাকি? যদি না হয় তুমি এই কাজ করলে কেন? তাহলে হিন্দুদের শরস্বতী, ভগবতীর কাছে কলা দেওয়া আর তোমার এই কবরে ফুল চড়ানো দুইটা সমান নয় কি?
.
তুমি মুসলীম, তুমি মুসলীম! তুমি চির রনবীর। তুমি মরনকে করো না ভয়।তোমার ইতস্থ হওয়া দরকার ছিলো। তোমার লজ্জা বোধ হওয়া দরকার ছিলো।তোমার বিদ্যাকে মূল্যায়ন করা দরকার ছিলো। তুমি বেশী না পারলেও তুমি ঘুরে দাড়াতে। ছি, ছি, এই কাজ কেউ করে? এই বলে তুমি ঘুরে দাড়াও। বাঁচার পথ আছে। তুমি শিক্ষক হয় এ কাজ করো কি করে?
.
সারা পৃথিবীর মানুষ যদি পায়ের জুতা খুলে দিয়ে ফুল চড়ায় বরকতের এক পয়সা উপকার করতে পারবে না। যদি সেই দিন তুমি বলতে,
-এই ছেলেরা শুন! তাঁরা জীবন দিয়েছে, তারা রক্ত দিয়েছে তোমরা একটু তার জন্য ক্ষমা চাও। তোমরা বলো, ‘আল্লাহ! এই দেশের ভাষাকে টিকানোর জন্য বরকত জীবন দিয়েছে। তোমার দরবারে ক্ষমা ভিক্ষা চাচ্ছি। রবকত মানুষ, সালাম মানুষ! দয়া করে তুমি তাকে ক্ষমা করো।’
এটা বলতো পারো না?
-আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ