কৃষিনির্ভর নীলফামারীতে চা চাষে দেখা দিয়েছে বিপ্লব। লাভের মুখ দেখে তামাকের পরিবর্তে চা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা। গুণগত মান ভাল হওয়ায় চাহিদাও বাড়ছে এ চায়ের।
জেলার কিশোরগঞ্জে ২০১৪ সালে পরীক্ষামূলক চা চাষ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। ভালো ফলন হওয়ায়, পরবর্তীতে ৫২ বিঘা জমিতে চা চাষ করেন চাষিরা।
এক সময়ের পতিত জমি এখন সবুজে ভরে গেছে। আগাছা পরিষ্কার করে চলছে জমি পরিচর্যার কাজ। কোথাও আবার দলবেঁধে সংগ্রহ করা হচ্ছে চায়ের পাতা। এ কাজে জড়িয়ে অনেকে এখন স্বাবলম্ভী।
এখানকার বেলে ও দোঁয়াশ মাটিতে চা চাষের রয়েছে উজ্জল সম্ভাবনা।
চায়ের প্রক্রিয়া ও বাজারজাতে একটি কারখানা নির্মাণের দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
চলতি অর্থবছরে জেলায় ১শ' ৮৭ বিঘা জমিতে চা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চা গবেষণা ইন্সটিটিউট। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ হেক্টর জমি চা চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের।