দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে বাংলাদেশে আসছে না ভারতীয় গরু। এতে করে যশোরের বেনাপোল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাট ও খাটালে কমে গেছে গরুর সংখ্যা। আসছে কোরবানি ঈদে তাই গরুর দাম বাড়ার শংকায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, গরু পাচার ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বিজিবি।
বাংলাদেশে ভারতীয় গরু আনা নিয়ে দেশটির সরকারের এক প্রকার নিষেধাজ্ঞার কারণে সীমান্তে বিএসএফের কড়া টহল। পাশাপাশি পাচার ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবির সর্তক নজরদারী। এ কারণে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আসছে না গরু। খালি পড়ে রয়েছে সীমান্তের অন্যতম বড় গরুর হাট পুটখালী।
অগ্রবুলেট, গোগা, রুদ্রপুর ও দৌলতপুরের খাটালগুলোতে আগে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার গরু আসলেও এখন বৈধ পথে আসছে ৫০ থেকে এক’শটি। ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘদিন গরু আনা বন্ধ থাকায় তাদের কোটি কোটি টাকা আটকে রয়েছে ভারতে।
কোন বাংলাদেশী রাখালকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়া হবে না জানিয়ে বিজিবি জানায়, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক সীমানায় গরু দিয়ে গেলে, শুধু সেগুলোই দেশে ঢুকতে দেয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত পেরিয়ে আগে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০ হাজার গরু আসতো ভারত থেকে। রাখা হতো জহরপুর টেক, বাখের আলী, জহুরপুর, মাসুদপুর ও ওয়াহেদপুর খাটালে। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে শূণ্য পড়ে আছে সেগুলো।
চাহিদার তুলনায় দেশী গরু কম থাকায়, অন্যদিকে সীমান্তপথে ভারত থেকে না আসায়,আসছে কোরবানি ঈদে সংকটের পাশাপাশি গরুর দাম বাড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
তবে বিজিবি বলছে,সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হলেও বৈধপথে গরু আনায় কোন বাঁধা নেই।
https://www.youtube.com/watch?v=eu7HKKxAkrI