ভালো নেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতের পরিবার। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বা পঙ্গু হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবারের সদস্যরা। সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন আহতরা।
২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যখন গ্রেনেডের তাণ্ডব তখন শেখ হাসিনাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দিয়ে ঘাতকের বুলেটবিদ্ধ হয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন বিশ্বস্ত দেহরক্ষী মাহবুব। যিনি শেখ হাসিনার ৪০ জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে একজন। প্রিয় নেত্রীকে রক্ষায় কুষ্টিয়ার খোকসার এই তরুন প্রাণ বিসর্জন দেয়ায় গর্বিত পরিবারের সদস্যদের।
পটুয়াখালী থেকে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন দশমিনা উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মী মামুন মৃধা। কাজকর্মে অক্ষম তার দিনমজুর পিতা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। প্রতিবছর এ দিনটিতে জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতারা সাহায্যের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সেদিনের গ্রেনেড হামলায় মারা যান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার আওয়ামী লীগ কর্মী রতন শিকদার। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি তার পরিবারের।
চাঁদপুরের মতলব উপজেলার কাঠমিস্ত্রি আতিক উল্লাহ ও হাইমচর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস পাটোয়ারীর পরিবার এখনো বিচারের অপেক্ষায়।
দলীয় সভা-সেমিনারের খবর পেলেই ছুটে যেতেন সাভারের মাহবুবা পারভীন। সেদিনের নারকিয় হামলার পর শরীরে ১৮শ স্প্লিন্টার শরীরে নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় বেঁচে আছেন তিনি।
https://www.youtube.com/watch?v=wKR1nHNV9zY