নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া ও নরসিংদীর রায়পুরায় নিহত হয়েছে দুইজন। এছাড়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়ি, মাদারীপুর ও মেহেরপুরের গাংনীতে আহত হয়েছে ৬০ জনেরও বেশি।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর পরই কুমিল্লার মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তাপস নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। অনিয়মের অভিযোগে মুন্সীরহাট হোসাইনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মনোহরগঞ্জের আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। ধলিয়া ইউনিয়নে অলিপুর কেন্দ্র দখলের ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশের এক এসআই গুলিবিদ্ধ হয়।
নরসিংদীর রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় রংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত হয় আরো ৫ জন।
লক্ষীপুরে মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে আলাদা সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। সকালে টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রায়পুরের বামনীর আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষ হয়।
ফেনীর ছালগনাইয়ায় কেন্দ্র দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ভোরে শুভপুর ইউপির জগন্নাথ সোনাপুর কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থী মোশাররফ হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা হয়।
মেহেরপুরের গাংনীর ষোলকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। চাঁদপুরে আহত হয়েছে ২০ জন।
এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মাদারীপুরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় ২০ জন।