সাভারের রানা প্লাজা ধসের তিন বছর

2016-04-24 19

বিশ্বকে নাড়া দেওয়া সাভারের রানা প্লাজা ধসের তিন বছর আজ। কিন্তু এ ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলা আজো আলো মুখ দেখেনি। সরকারি হিসেবে সে দুর্ঘটনায় নিহত হয় এক হাজার একশ’ ৩৬ জন। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে। ওই দুর্ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন বাবা-মা, আবার কেউ সন্তান। যারা প্রাণে বেঁচে যায় তারা বয়ে বেড়াচ্ছেন পঙ্গুত্ব। দায়ী আসামীদে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল; রানা প্লাজার পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা যে যার মতো করে কাজে যোগ দিচ্ছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় একযোগে চালু করা হয় ডজন খানেক জেনারেটর। কেঁপে ওঠে নয় তলা ভবনটি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে নয়তলা ভবনটি ধসে পড়ে। সাথে সাথে ঝড়ে যায় হাজার শ্রমিকের প্রাণ। দেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

ঘটনার দিনই সাভার থানায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুটি মামলা হয়েছিল। দুটিতেই রানা, তার মা ও বাবাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্লাজা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে পরের বছর দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করে আরও একটি। আগামী ২৮ এপ্রিল দুই আদালতে দুটি মামলার আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন রয়েছে।

সেদিনের সে ধস ছিনিয়ে নিয়েছে অনেক মায়ের সন্তানকে। রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে আজও অনেক বাবা-মা খুঁজে ফেরেন সন্তানদের। আবার কেউ হারিয়েছে বাবা-মা বা পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে।
আহতদের বেশীর ভাগই পঙ্গু হয়ে এখন পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলার বিচার দাবি গার্মেন্টর্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের।

https://www.youtube.com/watch?v=gR2FOpg8Hf4