জন্মের আগ থেকেই বাংলাদেশের মিত্র রাষ্ট্রের তালিকায় সবার আগে ভারতের নাম। ৭১এ দেশ ত্যাগে বাধ্য বাঙালীদের জন্য ইন্দিরা সরকারের সীমান্ত উন্মুক্ত করা ইতিহাসে উদারতার বড় উদাহরণ। তবে স্বাধীনতা পরবর্তীতে সীমান্ত সমস্যার মাঝে আলোচিত অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফের গুলিতে বাঙালী হত্যা।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই এই ভূখন্ডের সাথে ভারতের সীমান্তে ছোট খাটো সমস্যা লেগেই থাকতো। ১৯৭৪ এ স্বাক্ষর হয় দু’দেশের সীমান্ত চুক্তি। এরপরও থেমে নেই সীমান্ত সমস্যা। গরু, জ্বালানী তেল,মাদক, ওষুধ, নারী ও শিশু পাচারের মতো ঘটনা ছাপিয়ে সীমান্তের বড় ইস্যূ বর্ডার কিলিং।
সীমান্ত হত্যার ইস্যূটি বিশ্ব দরবারকে নাড়া দেয় ২০১১ সালে কুচবিহার-কুড়িগ্রাম সীমান্তের অনন্তপুরে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর লাশ সীমান্তের তারকাঁটায় ঝুলে থাকার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
সমালোচনার মুখে ভারত সরকার বাধ্য হয় দু’দফায় ২০১৩ সালের এবং ২০১৪ সালের কুচবিহার জেলার বিএসএফ সদরদপ্তরের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে এ হত্যার বিচার কাজ চালাতে। দু’বারই অভিযুক্ত জাওয়ান অমিয়ো ঘোষকে ঐ আদালত খালাস দেয়র পর; ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ পাশে দাঁড়ায় ফেলানীর পরিবারের। দেশটির সুপ্রীম কোর্টে দাখিল হয় রিট পিটিশন।
তবে হাল ছাড়তে নারাজ কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর।
২০১৫ সালের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দু’দেশ সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোটায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শর্ত হচ্ছে বৃদ্ধি করতে হবে সীমান্ত ব্যবহারে স্থানীয়দের সচেতনতা। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে সক্ষম হলে ফেলানীর মতো সীমান্ত রক্ষীদের গুলিতে নিহত মানুষগুলোর আত্মা খানিকটা তৃপ্ত হবে। এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
7 Jan 2016
ফেলানী হত্যা