HPM Sheikh Hasina in Discussion Meeting Organized by Bangladesh Awami League on 21 February

2016-02-23 2

আর্ত্মমর্যাদা থাকলে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম পদত্যাগ করতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে গণতন্ত্র হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের যুদ্ধাপরাধীদের মতো বিচার করার কথাও বলেন তিনি।

সম্প্রতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ওয়ান/এলিভেন পরবর্তী তত্তাবধায়ক সরকারের সময় ডিজিএফআইয়ের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া ছেপেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

মাহফুজ আনামসহ ও আরেকটি বাংলা দৈনিকের সম্পাদকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগ্রেডিয়ার আমিন, বারির সঙ্গে ওনার কি সখ্যতা ছিলো। অথবা তিনি কি এদের হাতে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন। যে যা দিতো তাই লিখতো। অথবা যে মাইনাস টু ফর্মুলার যে ষড়যন্ত্র চলছিলো যে রাজনীতি থেকে আমাকে এবং খালেদা জিয়াকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিবে সে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ঐ সম্পাদকদ্বয় জড়িত ছিলো। কোনটা সত্য। যদি বুকের পাটা থাকে জাতির কাছে স্বীকার করেন।’

মাহফজ আনামকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পাদক সাহেব উনি ডিজিএফআইয়ের লেখা ছাপিয়ে ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেছন। … কই তিনি ভুল স্বীকার করে পদত্যাগ করার সাহসতো দেখাতে পারলেন না। এতটুকু আর্ত্মমর্যাদা থাকলে নিশ্চয়ই তিনি পদত্যাগ করতেন।’

‘এই ভুলের খেসারত বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দিলো, ব্যবসায়ী মহল দিলো। আমি আমার পরিবারতো দিয়েছিই।’

বিবিসির উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতদুর মনে পড়ে কিছু দিন আগে বিবিসি একবার বৃটিশ কোন মন্ত্রী বা এমপির বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা প্রচার বিবিসি করেছিলো। যখন প্রমাণ হলো এটা মিথ্যা তখন তারা শুধু ক্ষমাই চাইলো না বিবিসির মহাপরিচালক থেকে শুরু করে যারা সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত তারা সকলেই পদত্যাগ করেছিলো। তাদের সৎ সাহস ছিলো পদত্যাগ করেছে।’

ডেইলি স্টার ও একটি শীর্ষ বাংলা দৈনিকের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গোটা বিশটা বছর আমার রাজনৈতিক জীবনে এই পত্রিকা দুটি শুধু আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে গেছে, আমার বিরুদ্ধে লিখে গেছে। আওয়ামী লীগ যেন তাদের শত্রু।’

‘পত্রিকা দুটির মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে দূর্নীতিবাজ বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো, প্রতিদিন পত্রিকায় একটা না একটা লেখা যে দুর্নীতিবাজ আমাকে বানিয়েই ছাড়বে। আমি সেই সম্পাদক মাহফুজ আনামকে একটা কথাই বলবো আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে বহু চেষ্টা করেছে, আপনি তো আপনিই, আপনার পিতৃতূল্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তারাও তো দুর্নীতিবাজ বানাতে চেষ্টা করে পারে নাই। পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে যখন কথা উঠে ছিলো তখনতো কত বড় বড় কথা। ভাবখানা এমন যে এতদিন পাই নাই এবার ধরে ফেলেছি। কিন্তু তারা পারেনি, সত্য চাপা থাকে না।’

১/১১ তত্তাবধায়ক সরকারের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য ওই দুটি পত্রিকা উঠে পড়ে লেগেছিলো মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই পত্রিকার সম্পাদকদের একজন ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন ডিজিএফআই যা দিতো তাই লিখে দিতেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফখরুদ্দিন মঈনউদ্দিন সরকারের আমলে ডিজিএফআই খুব শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিলো। যে প্রশ্নটা কেউ করে নি তা আমি করেছিলাম। দেশ চালায় কে? সরকার প্রধান কে? ওই ডিজিএফআইয়ের দুই ডাইরেক্টর বিগ্রেডিয়ার আমিন আর বিগ্রেডিয়ার বারি তারাই হয়ে গিয়েছিলো হিরো। তারাই মনে হয়েছে দেশ চালাতো। দেশটা যেন তাদের হাতে।’

‘শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সকলেই তখন নির্যাতিত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে টাকা নেয়া, অনেকে দেশ ছাড়া, অনেকে বন্